Description
নন্দী মহারাজ… শিব মহাপুরাণ মতে, তিনি শিলাদ মুনির পুত্র। শিলাদ ছিলেন ভগবান শিবের পরম ভক্ত। তিনি ছিলেন ব্রহ্মচারী। পুত্রহীন বলে তাঁর পিতৃপুরুষগণ মুক্তি পাননি। তাই তারা মুনিকে পুত্রোৎপাদনের পরামর্শ দেন। শিলাদ তখন শিবের তপস্যা করতে থাকেন। ভগবান শিব তখন তাঁকে পুত্ররূপে জন্মানোর বরদান করেন। তিনি শিলাদকে যজ্ঞ করতে বলেন। শিলাদ যজ্ঞ করার জন্য ক্ষেতে হলকর্ষণ করতে থাকেন। ক্ষেত থেকে তখন এক শিশুর আবির্ভাব হয়। শিশুটি অকস্মাৎ চতুর্ভুজ মহারুদ্রের রূপ ধারণ করেন ও মুনিকে পিতা বলে সম্বোধন করেন। তখন শিলাদ তাঁকে তার আশ্রমে নিয়ে যান। আশ্রমে প্রবেশ করতেই তিনি এক বালকে পরিণত হয়। মহর্ষি বালকটির নাম দেন নন্দী। একবার মহাদেব মিত্র ও বরুণ নামে দুই দেবতাকে পাঠান নন্দীর পরীক্ষা নিতে। তাঁরা ঋষির রূপ নিয়ে শিলাদ ও নন্দীর আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। ঋষিদ্বয় নন্দীকে দেখে বলেন তাঁর আয়ু আর বেশি দিন নেই। তখন নন্দী শিবের ঘোর তপস্যা করে। মহাদেবের বরে তিনি শিবের প্রিয় অনুচর ও বাহন হন এবং তাকে চিরঞ্জিবী করে দেন। মহাদেব নিজে মরুৎ কন্যা সূয়শার সাথে নন্দীর বিবাহ সম্পাদন করেন। তবে প্রায় সব কাহিনিতেই তিনি শিবের সহচর ও মিত্র।
ধারণা করা হয়, নন্দীর কানে বলে দেওয়া প্রার্থনা সরাসরি মহাদেবের হৃদয়ে পৌঁছে যায়। (তথ্য সূত্র – উইকিপিডিয়া)
Reviews
There are no reviews yet.