Description
১৯৭০-এর দশক থেকে দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে এ উপন্যাসের বিস্তার। আর্থসামাজিক পরিবর্তনের হাত ধরে উপন্যাস গড়ে ওঠে সম্পর্কের বিভিন্ন আঙ্গিকে। কলকাতার বিজয়গড়, রিফিউজি পরিবার, নকশাল আন্দোলনে থমকে যায় বড়দার জীবন। বাবরি মসজিদ ভাঙার উত্তেজনার দিনে তনুজার আলাপ তার ভালোবাসার সঙ্গে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে প্রচুর কাজ আর বিদেশের বাজারে ভারতীয়দের চাহিদা বেড়ে যায়। তনুজার জীবনে বিদেশের টান কালো ছায়া ফ্যালে। তনুজা ওর মেয়ে চৈতির মধ্য দিয়ে ফিরে পায় এগিয়ে চলার শক্তি। বিশাল সমুদ্র স্বপ্ন দেখায়। এ উপন্যাস সময়ের সঙ্গে বাঁক নেওয়া বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে অবগাহনের কথা।
শুভাসিশ চক্রবর্তী –
প্রিয় নন্দিতা,
আজ অবগাহন উপন্যাস শেষ করতে পারলাম
উপন্যাস টা পড়ে খুব ভাল লাগল খুব সহজ ভাষায় লেখার জন্য প্রতিটা মুহূর্তেই ছবির মত দেখতে পারছিলাম। কোন আজগুবি কথা কিছু নেই, যেন আমার ই চারপাশে ঘটনা গুলো ঘটছে। খুব সুন্দর খুটিনাটি সব কিছু এত ভালো করে লিখেছ, কি করে এত কিছু জেনে লেখা যায় সত্যি অনেক অভিনন্দন।
তনুজা আমেরিকা থেকে ফেরার পর গল্পের অসাধারণ মোড় ঘুরে যায় আমি কেঁদে ফেলেছি এটাই লেখক এর বড় পাওনা। ভীষণ ভালো একটা অনুভুতি পুরো উপন্যাসটি পড়ে। আমার বিশ্বাস খুব ভালো প্রতিক্রিয়া আসবে পাঠকদের থেকে।
আশাকরি আগামীদিনে আরও ভাল উপন্যাস লিখবে, আশায় রইলাম।
শুভাশিস চক্রবর্তী
রাজীব মজুমদার –
দারুন উপভোগ করলাম অবগাহন। নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পরবর্তী সময়ে একটা পরিবারের সুখ, দুঃখের গল্প সাবলীল ভাবে ফুটে উঠেছে লেখকের কলমে। বর্তমান যুগের নতুন শিল্প আই টি এর কর্মজীবনে ভৌগোলিক দূরত্ব যে কিভাবে একটা পরিবারকে কতখানি প্রভাবিত করে, তার সুন্দর উপস্থাপন হয়েছে এই উপন্যাসে। সেই সাথে নদী আর সমুদ্র বক্ষের সাঁতারের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সাঁতার নিয়ে এত কিছু কোনোদিন জানতামই না। বিশেষ করে উপন্যাসের শেষ পর্বে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারের যে কত প্রতিকূল সেটা অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। বাঙালির ঘরে ঘরে একটা তনুজা আর চৈতি যাতে স্থান নেয়, সেই প্রার্থনাই রইলো
Rajib Majumder –
দারুন উপভোগ করলাম অবগাহন। নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পরবর্তী সময়ে একটা পরিবারের সুখ, দুঃখের গল্প সাবলীল ভাবে ফুটে উঠেছে লেখকের কলমে। বর্তমান যুগের নতুন শিল্প আই টি এর কর্মজীবনে ভৌগোলিক দূরত্ব যে কিভাবে একটা পরিবারকে কতখানি প্রভাবিত করে, তার সুন্দর উপস্থাপন হয়েছে এই উপন্যাসে। সেই সাথে নদী আর সমুদ্র বক্ষের সাঁতারের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সাঁতার নিয়ে এত কিছু কোনোদিন জানতামই না। বিশেষ করে উপন্যাসের শেষ পর্বে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারের যে কত প্রতিকূল সেটা অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। বাঙালির ঘরে ঘরে একটা তনুজা আর চৈতি যাতে স্থান নেয়, সেই প্রার্থনাই রইলো
Poushali Chakraborty –
অনেকদিন পরে একটা দারুন উপন্যাস পড়লাম, আমার বন্ধু ও কলিগ নন্দিতার লেখা অবগাহন। বিশাল এ উপন্যাস যা সুদীর্ঘ সময়ের হাত ধরে চলেছে আর তাই পড়তে পড়তে আমিও যেন উপলব্ধি করছিলাম বিভিন্ন ঘটনা। লেখার মধ্যে প্রত্যেকটা চরিত্র যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে, কি যে ভালো লেগেছে তনুজার চপলের ভালোবাসা আবার সেই ভালোবাসায় ফাটল ধরায় আমার ও মন কি খারাপ হয়ে গেলো। তথ্য প্রযুক্তি পরিসরে অনেক কথা যেগুলো আমাদের জীবনের সথে জড়িত তার স্যাথে এক নিশ্বাসে পড়েছি ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারের কথা।
অসাধারণ লেখনী, সম্পর্কের বিভিন্ন আঙ্গিক ফুটিয়ে তোলার ভঙ্গি একেবারে সাবলীল, আর তেমনি অবাক হয়েছি লেখিকার জানার গভীরতা দেখে। পড়তে পড়তে এতটা মিশে গিয়েছি চরিত্রদের সাথে যেমন চৈতির কষ্টে এত কান্না পেয়েছে আবার ও যখন খুশি মনে হয়েছে একদম ঠিক। প্রবীর দা এত সুন্দর সহজ কবিতায় মনের কথা বলে, অজিত একেবারে ঝকঝকে একটি চরিত্র যারা মূল চরিত্র দের আরো সুন্দর করেছে, পরিপূর্ণ করেছে।
বইমেলায় কিনেছি অবগাহন, সেদিন থেকে পড়তে শুরু করেছি, একদিন ও ছাড়তে পারিনি। আজ যখন বইটা শেষ হল, কতদিনের পরে সেই বড় উপন্যাস পড়ার যে আনন্দ বা আমেজ আমাকে যেন জড়িয়ে আছে। কিছুতেই ভুলতে পারছি না কতকিছু। একেবারে মিশে গিয়েছি আমি অবগাহনের সাথে।
অপূর্ব উপন্যাসের নাম যথার্থ তার মানে। নন্দিতাকে বলব এই উপন্যাসের পরের পর্ব আসবে কিনা। এটাও ভেবেছি
Rajib Majumdar –
দারুন উপভোগ করলাম অবগাহন। নকশাল আন্দোলন থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের পরবর্তী সময়ে একটা পরিবারের সুখ, দুঃখের গল্প সাবলীল ভাবে ফুটে উঠেছে লেখকের কলমে। বর্তমান যুগের নতুন শিল্প আই টি এর কর্মজীবনে ভৌগোলিক দূরত্ব যে কিভাবে একটা পরিবারকে কতখানি প্রভাবিত করে, তার সুন্দর উপস্থাপন হয়েছে এই উপন্যাসে। সেই সাথে নদী আর সমুদ্র বক্ষের সাঁতারের অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। সাঁতার নিয়ে এত কিছু কোনোদিন জানতামই না। বিশেষ করে উপন্যাসের শেষ পর্বে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতারের যে কত প্রতিকূল সেটা অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। বাঙালির ঘরে ঘরে একটা তনুজা আর চৈতি যাতে স্থান নেয়, সেই প্রার্থনাই রইলো