Description
কবির সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক পুরোটাই প্রাণের। তাই তিনি ‘অবশেষে’ কবিতায় লেখেন, ‘দিনের কপাল জুড়ে ক্লান্ত ঘাম হলে’ অথবা ‘হৈমন্তী’ কবিতায়….. ‘দেখি জড়াজড়ি শুয়ে আছে পোয়াতি ধানের শিষ, ঘুমন্ত শিশির’ কিংবা উদাস দুপুরে কবি শুনতে পান… ‘কে যেন কে গাইছে দূরে/বনপলাশীর পদাবলি।’ একটা কেতকীফুল যেন নিমেষে ছিঁড়ে দেয় কাঁটাতারের বেড়া। তাই তিনি লেখেন… “তার কাছে জল সার কেতকীর আবদার।’ আবার তিনি যখন একটা হলুদ পাখি দেখে লিখে ফেলেন… ‘পাখিটার সাথি নাই’, তখন বুকের ভেতর হাহাকার করে ওঠে। ‘উত্তরাধিকার’ বা ‘মৌসুমি সকাল’ অথবা ‘শিমুলতলার মাঠ’ কবিতাগুলো যেন একটানে পড়া হয়ে যায়। এই প্রবহমানতা কবির সব লেখারই প্রাণ। ‘বোকা’, ‘কুঁড়ো’, ‘উত্তরাধিকার’ এই কবিতাগুলোতে তিনি সুররিয়ালিস্ট ভাবনা ছেড়ে এসে দাঁড়ান চাওয়া, পাওয়া, হতাশার বাস্তব মাটিতে।
Reviews
There are no reviews yet.