Description
হাঁ-হুজুরের খেলা। হিসাব কষে ছক্কা-পাঞ্জার নিখুঁত চাল দেওয়া;-এ খেলা অদ্ভুত। রং মিলিয়ে তালের সঙ্গে তাল দিয়ে এগোতে পারে যে, সে নাকি বিজয়ী! দিগ্বিদিকশূন্য দৌড়ে চেনা মুখগুলো ধূসর হয়ে কোথায় যেন মিলিয়ে যায়, স্বার্থ আর লোভের লম্বা দৌড়ে মানুষ একা হয়, নিঃস্ব হয়, নিঃস্ব হয়ে মাতাল হয় উলঙ্গ রাজার দেশে। রাজার দলবল তালবেতালের বাদ্যি বাজায় অদৃশ্য রক্তচোখে আর চাবুক হাতে, উলঙ্গ বুভুক্ষু মানুষেরা নাচে মাতালের নাচ। জাত-ধর্মের রক্ত মেখে স্বদেশও নাচে তাতা থৈ থৈ। ব্যতিক্রমী চিন্তার ফসল পুড়ে খাক হয় মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়, গারদে। বদলে দেবার মানুষগুলো কোনোদিন ফিরে এলে হয়তো আকাঙ্ক্ষিত স্বদেশের আকাশে রামধনু খেলবে, বন্ধ ডাকবাক্সের চিঠিগুলো খোলা হবে, জ্যোৎস্নারাতে বাঁশির সঙ্গে ধামসা-মাদল বাজবে, সসম্মানে মানুষ মানুষের হাত ধরবে হৃদয়ের বন্ধনে, আপাতত রক্তক্ষরণের বসন্ত-বাতাসে লাশকাটা ঘরেই বেঁচে থাকার চেষ্টা। চিমনির ধোঁয়া থেকে মানুষের ঘামের গন্ধ সোনালি ধানের খেতে মিশে যাবে একদিন এই বিশ্বাসে চেতনার শব্দগুলো কবিতার শরীর হয়ে উঠুক।
Reviews
There are no reviews yet.