Description
এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি জীবনানন্দ দাশের ১ জানুয়ারি : ১৯৩১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৩১ ডায়েরির এন্ট্রি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মাল্যবান দাশগুপ্ত। আর মাল্যাবান দাশগুপ্ত যেন জীবনানন্দ দাশেরই অলটার ইগো। টাইম ও স্পেসকে তথা বাস্তবতাকে তোয়াক্কা না করে এই দুটি চরিত্রের পরস্পরের মধ্যে অবাধ গতায়াত। মাল্যবান অথবা জীবনানন্দের লেখা আর পড়ার জগৎ, সূক্ষ্ম অনুভূতি, মর্মভেদী পর্যবেক্ষণ, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন-এই সবই উপন্যাসটিতে নানা মাত্রা যোগ করেছে। এখানে জাদুবাস্তব আর বাস্তব মিলেমিশে একাকার। পাঠক ঠাওর করতে পারে না কোথায় জীবনানন্দ আর কোথায় মাল্যবান!
গভীর রাতে মাল্যবান স্বপ্ন দ্যাখে, সে কোনো এক মফস্সল শহরের চৌমাথার মোড়ে, জাদুখেলা দেখানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। প্রথমে দুটো বাঁশ চারটি ইট দিয়ে দু-প্রান্তে দাঁড় করিয়ে, একটা কোঁচকানো সিল্কের কাপড় তাতে টানটান করে লটকে দিল। সেই কাপড়ে বাঁকাত্যাড়া অক্ষরে লেখা, ‘প্রফেসর মাল্যবান দাশগুপ্ত দ্য ম্যাজিশিয়ান’। এবার ঝুলি থেকে একটা একটা করে পায়রা, কাগজের ফুল, তাস, ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া, ফুলদানি, প্যান্ডোরার বাক্স, চকমকি কাগজ ইত্যাদি বের করে একপাশে গুছিয়ে রাখল। ম্যাজিক শুরু হবে এবার…
Reviews
There are no reviews yet.